মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নে পাঁচ মাস পর কবর থেকে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইরদেউল গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত উল্লা এর পুত্র নজরুল ইসলাম (৩২) এর।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে স্থানীয় বড়চেগ বিক্রমপুর কবরস্থান থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য ওই যুবকের লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম এর ভাই মোঃ বদরুল ইসলাম জানান,তার ভাইকে তার স্ত্রী ও শশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
জানা যায়, নিহত নজরুল ইসলাম কমলগঞ্জ উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের রঙ্গু মিয়ার কন্যা মশকুরা বেগমকে বিয়ে করেন। গত ২৭ জানুয়ারী তারিখে শশুর বাড়িতে একটি অনুষ্টানে যোগ দিতে যান। গত ১ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখে নজরুল ইসলাম এর বাড়িতে তার শশুর বাড়ির লোকজন খবর দেয় দাতের ব্যাথায় নজরুল ইসলাম মারা গেছে। নিহতের পরিবাবারের লোকজনের সন্দেহ হয় নজরুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এরপর হত্যার অভিযোগ এনে গত ১৮ মে তারিখে নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদি হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করা হলে লাশ উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
শমশেরনগর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান,’আমরা আদালতের নির্দেশনা পেয়ে নিহত নজরুল ইসলাম এর লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আদালেতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকারের উপস্থিতিতে শমশেরনগর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স লাশ উত্তোলন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।